ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আইপিএফটি-সিপিআই(এম) সংঘর্ষে খুমলুংয়ে চাপা উত্তেজনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
আইপিএফটি-সিপিআই(এম) সংঘর্ষে খুমলুংয়ে চাপা উত্তেজনা আইপিএফটি-সিপিআই(এম) সংঘর্ষে জ্বালিয়ে দেওয়া মোটরবাইক

আগরতলা: আইপিএফটি ও ক্ষমতাসীন সিপিআই(এম) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ত্রিপুরার খুমলুং এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার খুমলুং এলাকায় দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে পুরো এলাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ হয়ে রয়েছে।

এলাকায় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা টহল দিচ্ছেন।

রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে জ্বালানো টায়ারের অবশেষ। খুমলুংয়ে সিপিআই(এম)-এর অফিসে নেই কোনো কর্মী-সমর্থক। অফিসের সামনে ও ভেতরে ছাইভস্ম পড়ে আছে। শাসক দলীয় নেতাদের অভিযোগ আইপিএফটির কর্মীরা তাদের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। মেরে জখম করেছে ১৭জন কর্মীকে।
সংঘর্ষে ভাঙচুর চালানো হয় সিপিআই(এম) কার‌্যালয়ে
এদিকে রাধাপুর থানার সামনে পড়ে আছে রাজনৈতিক হিংসার আগুনে ঝলসানো মোটর বাইকের সারি। খুমলুংয়ে সংগঠিত এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনায় জড়িত আইপিএফটির কর্মীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) স্থানীয় রাধাপুর থানায় ডেপুটেশন দিলেন সিপিআই(এম)-এর একটি টিম।  

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের খুমলুংয়ের স্থানীয় কমিটির সম্পাদক শচি দেববর্মা। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের চিনতে পেরেছেন তারা। হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।

অপরদিকে জিরানীয়া মহকুমার এসডিপিও শ্যামানন্দ শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, থানায় মামলা পাল্টা মামলা হয়েছে। আইপিএফটির তরফ থেকে একটি ও সিপিআই(এম) এর পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮টি মোটরবাইক আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এসসিএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।