সরকারের প্রতিশ্রুতিতে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেও প্রতিশ্রুতি মতো পুনর্বাসন করেনি সরকার। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অনশন শুরু করেছেন তারা।
স্বাধীন ত্রিপুরা গঠনের লক্ষ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু আদিবাসী যুবক বন্দুক হাতে নিয়েছিলেন, গঠন করেছিলেন এটিটিএফ বাহিনী। এরপর তারা সাধারণ মানুষ, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাতেন। পরে সরকার তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে শুরু করে সামরিক অভিযান। পাশাপাশি তাদের বন্দুক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। ঘোষণ করা হয়, অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলে সরকার তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।
ত্রিপুরা সরকার ও ভারত সরকারের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর এটিটিএফ সদস্যরা সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু অনেক বছর কেটে গেলেও সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সদস্যরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন তারা। মূলত পাঁচ দফা দাবিতে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার আস্তাবল ময়দানে শুরু হয়েছে এ আমরণ অনশন।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-১৫৫ জন আত্মসমর্পণকারীকে সরকারি প্রকল্পে ঘর প্রদান, তাদের ছেলে-মেয়েদের একলব্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তির সুযোগ এবং যাদের বিরুদ্ধে এখনো মামলা চলছে তা প্রত্যাহার।
আত্মসমর্পনের দীর্ঘ বছর কেটে গেলেও রাজ্য সরকার তাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন আত্মসমর্পণকারী শৈলেন কুমার ব্রু।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
এসসিএন/এসআই