গত ১০ ও ১১ অক্টোবর মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং শহরে পাওয়ার মিনিস্ট্রি অব দ্য নর্থ ইস্ট রিজিওন্যাল কাউন্সিল'র (পিএমএনআরসি) ১৮তম বৈঠকে এই মতৈক্য হয়। এই বৈঠকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) আগরতলায় ফিরে মানিক দে সন্ধ্যায় মহাকরণে এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বিস্তারিত জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করলে দূরত্ব ৫০০ কিমি কমে যাবে। ফলে বিদ্যুৎ পরিবহন খরচ অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশের সমতলভূমির উপর দিয়ে যাবে বলে সমস্যাও হবে তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
এই প্রস্তাবে পিএমএনআরসি'র সব সদস্য রাজি হয়েছে। প্রস্তাবটি পাস করে ভারত সরকারের কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনে জন্য। ভারত সরকার এরপর জরিপ করে দেখবে কী করে তা বাস্তবায়ন করা যায়। এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্র। বাংলাদেশকে রাজি করানো গেলে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ভিত্তি পাবে।
ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার বড়মুড়া এলাকায় ২১ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি টারবাইন রয়েছে। একটি টারবাইন বন্ধ রয়েছে গত প্রায় এক বছর ধরে। এটিকে কম্বাইন্ড সাইকেলে রূপান্তরিত করলে একই খরচে আরো ২৫ মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। যা থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি শেয়ার পাবে। এর সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি রুপি লাগবে। এটি সংস্কারের কথা বলা হয় ত্রিপুরার তরফে। উত্তর-পূর্বের রাজ্য গুলি এই প্রস্তাবেও রাজি হয়েছে।
পাশাপাশি উত্ত-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের নানা দিক নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মানিক দে।
বাংলাদেশ সময়:২১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
এসসিএন/জেএম