সেদিন মোমবাতি, মাটির প্রদীপ, বৈদ্যুতিক আলোয় বাড়িঘরসহ অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে তোলা হবে। বাজারে নানা রঙের ও নানা আকারের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জার সামগ্রী থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ এখনও প্রদীপ ও মোম জ্বালিয়ে দীপাবলীর দিন বাড়িঘর আলোকিত করেন।
এই মুহূর্তে মোমবাতি কারখানাগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। রাতদিন জেগে কারখানাগুলিতে শ্রমিকরা মোমবাতি তৈরি করছেন।
আগরতলার প্রতাপগড় এলাকার এক মোমবাতি কারখানার মালিক সুজন ব্যানার্জী বাংলানিউজকে জানান, কেউ কেউ সারা বছর মোমবাতি না বানালেও বছরের এই সময় মোমবাতি তৈরি করেন। তবে তার কারখানায় সারা বছর ধরে মোমবাতি তৈরি হয়। বছরের অন্য সময় তার কারখানায় শুধু সাদা রঙের মোমবাতি তৈরি করা হলেও দীপাবলী উপলক্ষে রঙিন মোমবাতিও তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, বড় বড় পাত্রে লাল, সবুজ, হলুদ নানা রঙের মোমবাতি জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। এই পাত্রগুলি থেকে মগে করে শ্রমিকরা গলিত মোম ছাঁচে ঢেলে বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে বাতাস দিচ্ছেন। গলিত মোম ঠাণ্ডা হয়ে শক্ত হলে ছাঁচ থেকে বের করা হচ্ছে নানা আকারের মোমবাতি।
বাহারি বৈদ্যুতিক বাতির ছড়াছড়ি বাজারে। এজন্য মোমবাতির চাহিদা কমছে কিনা জানতে চাইলে সুজন ব্যানার্জী জানান, দিন দিন মোমবাতির চাহিদা বাড়ছে। তিনি শুধু পাইকারি দোকানে মোমবাতি বিক্রি করেন। তবে চাহিদা অনুসারে এবছর সরবরাহ করতে পারছেন না। এর কারণ হিসেবে জানান, আগে পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই চাহিদা অনুসারে সামগ্রী তৈরী হচ্ছে না। এবছর মোট পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছেন।
তিনি আরও জানান, এবছর মোমের দাম একটু বেশি। গত বছর ১ কুন্টাইল চাকা মোম তারা ৭ হাজার রুপি করে কিনেছিলেন। এবছর এই মোম কুন্টাইল প্রতি ১০ হাজার রুপি করে কিনতে হচ্ছে।
গত বছর মোমের উপর কর ছিলো ৫ শতাংশ, এবছর দেশে জিএসটি চালু হওয়ার পর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশ। এসব কারণে এবছর মোমবাতির মূল্য কিছুটা বেড়েছে।
তবে সবকিছুর পরও মোমবাতির চাহিদা কমেনি একটুকুও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
এসসিএন/আরআর