শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ফিতা কেটে বাংলাদেশের স্মৃতি বিজরিত এ পার্কটির উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাদল চৌধুরী, বনমন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া, পর্যটনমন্ত্রী রতন ভৌমিক, সংসদ সদস্য শঙ্কর প্রাসাদ দত্ত ও জীতেন্দ্র চৌধুরী, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য স্বচেতক বাসুদেব মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিলো অন্যতম। তার সঙ্গে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও ত্রিপুরা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংয়ের অবদানও ছিলো অনেক। পাশাপাশি যুদ্ধের সময় ত্রিপুরাবাসী যেভাবে বাংলাদেশের জনগণের সহযোগিতা করে ছিলেন তা অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ কাজে নিযুক্ত ছিলেন এমন চারজন ভারতের এসএসবি বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাকে সম্মাননা জানানো হয়।
১১০ একর জায়গা জুড়ে মৈত্রী পার্কটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ মুক্তিযুদ্ধাদের ভাস্কর্য রয়েছে।
যেখানে মৈত্রী পার্কটি গড়ে উঠেছে সেখানে মুক্তিযুদ্ধাদের ট্রেনিং ও ট্রানজিট ক্যাম্প ছিলো। এখানে মুক্তিযুদ্ধাদের ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য জায়গায় ট্রেনিং নেওয়ার পর চোত্তাখলা ক্যাম্পে রাখা হতো। পরে বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ করে যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশে পাঠানো হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসসিএন/ওএইচ/