শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) আগরতলা রেলস্টেশনে পৌঁছে মন্ত্রী প্রথমে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এবং রেলের নির্মাণ সংস্থা ইরকন’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এরপর যান আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সিদ্ধি আশ্রম এলাকায়; যেখান থেকে রেলপথ নির্মাণের কাজ ঘুরে দেখা শুরু করেন তিনি।
প্রথমে মন্ত্রী রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত ভারতীয় অংশের প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের পুরোটাই ঘুরে দেখেন।
নকশার সঙ্গে কাজের গতি প্রকৃতির খোঁজ-খবর নেন মন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের ভারতীয় অংশের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। এখন মাটি ফেলার কাজ চলছে। ভারতীয় অংশের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার হবে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে।
এ জন্য ১৫৭টি পিলার নির্মাণ করা হবে বলে জানান মানিক দে।
ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ হবে।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক তমাল মজুমদার, সদর মহকুমার মহকুমা শাসক সমিত রায় চৌধুরীসহ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল ও রেলের নির্মাণ শাখা ইরকন’র কর্মকর্তারা।
উত্তর-পূর্ব ভারতে এটাই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক প্রকল্প। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। ভারতীয় অংশে পড়েছে ৫ কিলোমিটার ও বাংলাদেশের অংশে ১০ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এসসিএন/এমএ