বাংলা হাওর গ্রামের মাঠ থেকে এরইমধ্যে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন আগাম সবজি। এই সবজি স্থানীয় ব্লকের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মিটিয়েও চলে আসছে রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যে ও বাইরের রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।
শীতের সূর্যোদয়ের আগে কুয়াশায় ঢাকা ভোরে ঘর থেকে সবজি ক্ষেতে বেরিয়ে পড়েন পুরুষ ও মহিলারা। এ গ্রামে প্রায় ৭০ পরিবার কৃষক রয়েছেন। তাদের পরিশ্রমে খিরাই, বেগুন, লাউ, শিম, লাল শাক, পালংশাক ছাড়াও নানা জাতীয় রবিশস্য ফলছে।
সবজির মাঠে কর্মরত এসব কৃষকেরা বাংলানিউজকে জানান, আগাম শাক-সবজি চাষে সরকারের সহায়তায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। আগাম এই সবজি সংগ্রহ করতে দূর দূরান্ত থেকে মাঠে পাইকারি ব্যবসায়ীরা চলে আসায় সবজির দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
এলাকারই কৃষক প্রেমানন্দ দাস এবছর আধ বিঘা জমিতে খিরাই চাষ করেছেন। ফলন বেশ ভালো হয়েছে জানিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এরইমধ্যে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ২০ রুপি দরে প্রায় ৫শ' কেজি খিরাই বিক্রি করেছি। মাঠ থেকেই কিনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব সবজি।
প্রেমানন্দ আরো জানান, পানির অভাবে একটা সময় শীতকালীন আগাম সবজি চাষ করতে সমস্যা হতো। কিন্তু এখন প্রত্যেকের জমিতে মিনি ডিপটিউবয়েল, সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা আছে। গ্রামেই বসানো হয়েছে পাম্প মেশিন। ফলে আর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না তাদেরকে।
অপর কৃষক ক্ষিতীশ দাস জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কৃষি দপ্তর থেকে সার, বীজ, বালাই নাশকসহ নানা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন তারা। ফলে ব্যাপকভাবে শীতকালীন সবজি চাষ করতে পারছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
এসসিএন/এসআইজে/জেডএস