ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিপ্লব, বিজেপির ঘোষণা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বিপ্লব, বিজেপির ঘোষণা  ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দীর্ঘ বাম শাসনের পতনের পর ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৪৮ বছর বয়সী বিপ্লব কুমার দেবের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আর উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন যিষ্ণু দেব বর্মণ। 

মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় আয়োজিত বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাধকারি এ ঘোষণা দেন।  

এ সময় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিষয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে রাজ্য অতিথিশালা থেকে নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার সদস্যরা রাজভবনে যান।  
    
আগামী শুক্রবার (০৯ মার্চ) আসাম রাইফেলস ময়দানে তাদের শপথগ্রহণ  অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কচুয়ার ছেলে বিপ্লব দেবের ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  

এ সময় দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজ্যের বনমালীপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেন বিপ্লব।  

বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ভরাডুবি হয়েছে মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন সিপিএম-এর।  

মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য রাজ্যপাল যে চিঠি দিয়েছেন তার কপি বিপ্লব দেব সংবাদমাধ্যমকে দেখান।  ছবি: সুদীপ/বাংলানিউজগত শনিবার (০৩ মার্চ) ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। এরপর থেকেই বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পান বিপ্লব দেব। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে বিপ্লব দেব ১৫ বছর দিল্লিতে ছিলেন। ওই সময় সেখানে তিনি একটি ব্যায়ামাগারের প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন।  

এদিকে বিপ্লব দেব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা দলটির সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি। এই যুবনেতা মাত্র দুই বছরের মাথায় ২৫ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে লাল থেকে গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দিলেন বিভিন্নভাবে পিছিয়ে থাকা ত্রিপুরাকে।  

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেঘদাইর গ্রামের হিরুধন দেব ও মিনা রানি দেবের একমাত্র ছেলে বিপ্লব কুমার দেব। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার মা-বাবা ত্রিপুরা চলে যান। এরপর থেকে সেখানেই থিতু হয়েছেন তারা।  

বিপ্লব দেবের আত্মীয়-স্বজন অনেকেই এখনও কচুয়া বসবাস করছেন। তাই গতবছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বিজেপির প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে যোগ দেওয়ার সময় পিতৃভিটায় গিয়েছিলেন তিনি।  

সম্মেলন শেষে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়ি কচুয়ায় যাওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী নীতি রানি দেব; যিনি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একজন সিনিয়র অফিসার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮/আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা
এমএ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।