সোমবার (১৬ জুলাই) বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন আগরতলার বাসিন্দা পূর্ণিমা দেবনাথ। তিনি জানান, গত ৫ জুলাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি বাংলাদেশে আত্মীযের বাড়ি যান।
তিনি বলেন, ফরম পূরণ করার সময় একটা জায়গায় ফ্লাইট লেখা ছিল। আমরা যেহেতু ফ্লাইটে যায়নি সেহেতু সে জায়গাটা ব্ল্যাঙ্ক ছেড়ে দেই। এই জায়গায় বাই রোড না লেখার শাস্তি হিসেবে গালিগালাজ ও ছোট বাচ্চাদের নিয়ে প্রচণ্ড গরমে দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। ওই সময় এক রিটায়ার্ড ভদ্রলোক ক্যাপিটেল লেটারে নাম না লিখে স্মল লেটার ব্যবহার করায় উনার সঙ্গেও খুব বাজে ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, সাধারণ নাগরিকদের বিনা কারণে হয়রানি করার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আশা করি, ভবিষ্যতে আর কারো সঙ্গে এতো বাজে ব্যবহার করার সাহস যেন না পায়। ওদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
বাড়ি ফিরে এসে পূর্ণিমা তার এই হয়রানির কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। এরপর ইমিগ্রেশনে এসব কর্মচারীদের আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে।
কয়েকদিন আগে আখাউড়া আইসিপি'তে ডলার এড্রোসমেন্টের নামে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের অহেতুক হয়রানি করে কর্মকর্তারা। বাধ্য হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই হয়রানি বন্ধের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই, ২০১৮
এসসিএন/আরআর