মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব এবং মৎস্য দফতরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজীৎ সিনহা, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, ধীরেন্দ্র দেববর্মা এবং সুশান্ত চৌধুরী প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী উৎসবের স্মরণিকা ‘হাবেলী-২০১৮’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মেলা ও উৎসব রাজ্যের ৩৭ লাখ মানুষের উৎসব। গত ২৫ বছর ত্রিপুরা রাজ্যে রাজ ধর্মপালন করা হয়নি। তাই এতো নারী নির্যাতন, মাদকের রমরমা, বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ম মানে শুধু পূজা করা নয়। জনতার সেবা করাই হচ্ছে প্রধান ধর্ম।
এই উৎসব চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই মেলা ২শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে। খার্চি পূজায় মূলত ১৪ জন দেবদেবী'র পূজা করা হয়। তাই এই মন্দিরের আরও এক নাম ১৪ দেবতা মন্দির। আগরতলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পুরাতন আগরতলায় এই মন্দির।
মেলার কনভেনার ও পুরাতন আগরতলা ব্লক'র বিডিও শান্তনু বিকাশ দাস বাংলানিউজকে বলেন, এবছর মেলার থিম প্লাস্টিকমুক্ত পরিবেশ। মেলায় রয়েছে ৮১৪টি ব্যবসায়িক ও ৩০টি সরকারি স্টল।
মেলার নিরাপত্তায় পুলিশ তৎপর রয়েছে। এজন্য পুরাতন আগরতলা স্কুল এবং পল্লিমঙ্গল স্কুলে অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। জরুরি চিকিৎসার জন্য রয়েছে মেডিকেল টিম। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পানিসহ অন্য পরিষেবা প্রদান করছে।
প্রথম দিন থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে পূণ্যার্থী ও দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ২০ জুলাই, ২০১৮
এসসিএন/আরআর