স্থানীয় ধর্মনগর কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক শেষে সরকারি চাকরির জন্য এদিক-ওদিক ছুটে কিছু হয়নি। তখন চাকরির স্বপ্ন ত্যাগ করে নিজের উদ্যোগে জীবন গড়ার চেষ্টা করেন।
তিনি জানান, ২০১৩ সালে তিনি বাড়িতে ক্ষুদ্র পরিসরে মাশরুম চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৪০০ বর্গফুটের ঘরে মাশরুম চাষ করছেন। শুধু মিল্কি প্রজাতির মাশরুম চাষ করছেন, কারণ এটি সুস্বাদু ও ধবধবে সাদা হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা খুব বেশি। প্রথমে একা মাশরুম চাষের কাজ শুরু করলেও এখন আরও দুইজন সহযোগী রেখেছেন।
বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ কেজি মাশরুম উৎপাদিত হয়, যা উত্তর জেলার বিভিন্ন বাজারের চাহিদা মিটিয়ে আসামের করিমগঞ্জসহ আরও কিছু বাজারে বিক্রি করছেন বলেও জানান নীলোৎপল। তিনি জানান, এখন ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকায় মাশরুম চাষ হয়। তাই কৃষি সামগ্রীর দোকানে মাশরুমের বীজ পাওয়া যায়। তবে গুণগত মানের কথা চিন্তা করে তিনি কলকাতা থেকে মাশরুমের বীজ সংগ্রহ করেন। প্রতি কেজি মাশরুম ১২০ রুপি থেকে ১৫০ রুপিতে বিক্রি করছেন। এখন তার সাফল্য দেখে হুরুয়া এলাকার আরও কয়েক যুবক মাশরুম চাষে এগিয়ে এসেছেন।
কৃষি দফতরের উদ্যান শাখার উত্তর জেলার অধিকর্তা সন্দীপ চক্রবর্তী জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়, তাই এখানকার আবহাওয়া আর্দ্র যা মাশরুম চাষের উপযোগী। এখানে মাশরুম ধানের খড়ে চাষ হয় তাই এক্ষেত্রে মাটির কোনো ভূমিকা নেই। মাশরুম চাষকে বেকার যুবকরা পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। তবে সরকার থেকে এখনও মাশরুম চাষিদের অর্থিক সহায়তা বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে মাশরুম চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে চাষিদের প্রশিক্ষণসহ অন্য সহযোগিতা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৮
এসসিএন/আরআর