সংঘাতের প্রেক্ষিতে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা নাগাদ আইপিএফটির সভাপতি ও ত্রিপুরা রাজ্যের রাজস্ব বিষয়ক মন্ত্রী এন সি দেববর্মার বাড়িতে বৈঠকে বসেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এর মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে, আইপিএফটি ক্ষমতাসীন জোট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।
তবে টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বৈঠকের পর আইপিএফটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জোট আগামী পাঁচ বছর অটুট থাকবে।
দলটির সহ-সম্পাদক মঙ্গল দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে- যেসব পঞ্চায়েতে আইপিএফটি দলের প্রার্থীরা ইচ্ছে থাকার পরও মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, সেসব পঞ্চায়েতে যেন আইপিএফটিসহ অন্য বিরোধীদলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, তার জন্য নির্বাচন দফতর যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। এজন্য আমরা ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন দফতরেও আবেদন জানাবো।
রাজ্যের পঞ্চায়েতের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ক’দিন ধরে একাধিক জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি ও আইপিএফটির কর্মীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে। এমনকি বাড়ি-ঘর এবং গাড়িতে ভাঙচুর- অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটছে। এতে উভয় দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ‘বিব্রতবোধ’র কথা প্রকাশ করেন।
মঙ্গল দেববর্মা সাংবাদিকদের বলেন, দুই দলের কর্মীদের মধ্যে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, বিজেপি ও আইপিএফটির নেতারা বৈঠকে বসে তা মেটানোর চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এসসিএন/ওএইচ/এইচএ/