বৃষ্টির পানি আটকানো, মাটি সংরক্ষণ, বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে রাবার টেপিং-এর প্রশিক্ষণ ও উন্নত সার প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চাষিদের পরামর্শ দেবে রাবার বোর্ড। এছাড়াও রাবার গাছের বীমার ব্যবস্থা করা হবে, যার মাধ্যমে ঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে গাছের কোনো ক্ষতি হলে চাষিরা আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, রাজ্য সরকারের এসব সিদ্ধান্তে রাবার চাষিরা খুশী। রাজ্যের অন্যতম এক রাবার চাষের এলাকা সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর। এই এলাকার এক রাবার চাষি বিশ্বজীৎ লস্কর।
রাবার চাষ নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) লস্কর বাংলানিউজকে জানান, এর ফলে আরও অনেক মানুষ রাবার চাষে উৎসাহিত হবে যা রাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে রাবার চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে একটি রাবার গাছ থেকে অনেক বেশি পরিমাণ রাবার উৎপাদিত হবে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে রাবার চাষে এ রাজ্য আরও ভালো অবস্থানে পৌঁছে যাবে।
ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে ত্রিপুরার অবস্থান দ্বিতীয়তে। এ রাজ্যের মোট ৮৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে চাষ হয় এই রাবার।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ত্রিপুরায় রাবার উৎপাদিত হয়েছে ৬৫ হাজার ৩৩০ মেট্রিকটন। এর মধ্যে সিট রাবার উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ হাজার ২৩০ মেট্রিকটন, স্ক্যাপ রাবার হয়েছে ১৩ হাজার ১০০ মেট্রিকটন এবং ফিল্ড ল্যাটেক্স উৎপাদিত হয়েছে তিন হাজার মেট্রিকটন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ত্রিপুরা থেকে সরাসরি বাংলাদেশে রাবার সিট রপ্তানি করা যেত না। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া ত্রিপুরায় রাবার চাষের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:
***ত্রিপুরায় রাবার চাষ বিষয়ে আলোচনা সভা***
***ত্রিপুরার ৮০ হাজার মানুষ যুক্ত রাবার চাষে***
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
এসসিএন/এনএইচটি