জানা যায়, এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ধলাই জেলার পাহাড়ি এলাকার জনজাতি অংশের মানুষ। এই জেলার অন্তর্গত গঙ্গানগর, দলপতি, রাইমাভ্যালি, গন্ডাছড়া, লংতরাইভ্যালি ইত্যাদি এলাকায় প্রায় প্রতি ঘরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত মানুষ রয়েছেন।
জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল প্রায় একশোরও বেশি মানুষ এখন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে ধলাই জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও) শরদিন্দু রিয়াং বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। হাসপাতালগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ ও ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট মজুদ রয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্য শিবির করছেন বলেও জানান ডা. শরদিন্দু।
তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শিবিরে অংশগ্রহণকারীরা সাধারণ মানুষের রক্ত পরীক্ষা করছেন ও আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। তবে সমস্যা হলো জনজাতি অংশের মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে আসতে চান না।
এই চিকিৎসক বলেন, ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জরিপ করে ধলাই জেলাকে হাই ম্যালেরিয়া প্রোন জোন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন- সিএমও এমন দাবি করলেও ধলাই জেলার সদর আমবাসা হাসপাতালে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত অবস্থায় নিজের ছেলেকে নিয়ে আসা মতিলাল ত্রিপুরা অভিযোগ করেন, খুব কম সময়ই পাহাড়ি এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীরা চিকিৎসা সেবা দিতে যান।
রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির খবর আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এসসিএন/এমএ