শহরের পাশাপাশি কেমন চলছে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাগুলোর প্রতিমা তৈরির কাজ। তা জানতে পশ্চিম জেলার অন্তর্গত লক্ষ্মীলুঙ্গা এলাকার একাধিক প্রতিমা তৈরির কারিগরদের সঙ্গে রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কথা হয় বাংলানিউজের।
প্রতিমা তৈরির কারিগররা জানান, এবার খানিকটা আগেভাগেই শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। বর্তমানে মন্দিরে মন্দিরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এর পরে এগুলোর ফিনিশিং করা হবে। ইতোমধ্যেই অনেক মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষপর্যায়ে। সেগুলো এখন শুকানোর কাজ চলছে। এর পরে রং করাসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ করা হবে।
প্রতিমা কারিগর বিমল দাস বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাগুলোতে সমান তালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূজা কমিটির হাতে প্রতিমা তুলে দেওয়ার জন্য দিনরাত কাজ করছেন কারিগররা। এ কাজে কারিগরদের সাহায্য করছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
তিনি জানান, এ বছর মোট ১২টি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তার কাছে আরও কিছু প্রতিমা তৈরির অর্ডার এসেছিলো। কিন্তু কাজের গুণমান বজায় রাখতে তিনি তা ফেরত দিয়েছেন। তার তৈরি প্রতিমার দাম সর্বোচ্চ ১৪ হাজার রুপি এবং সর্বনিম্ন ৯ হাজার রুপি। প্রতিযোগিতামূলক বাজার হওয়ায় এ বছর প্রতিমার দাম বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
বিমলের সঙ্গে কথা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে খানিকটা রাস্তা এগুতেই দেখা যায় প্রকাশ রুদ্রপাল নামে এক কারিগর মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করার সময় নেই। কারণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূজা কমিটির হাতে প্রতিমা তুলে দিতে হবে। সে লক্ষ্যই কাজ করছি।
অপরদিকে পূজার প্যান্ডেলগুলোতেও রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। সব মিলিয়ে শারদ বরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে গোটা ত্রিপুরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
এসসিএন/ওএইচ/