এদিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে বিধানসভার সদস্যদের আনা তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের উত্তর দেন শিক্ষা ও সংখ্যালঘু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, সমাজকল্যাণ ও প্রাণিসম্পদ দফতরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা। এছাড়া সাধারণ প্রশ্নোত্তর সব বিধায়কদের হাতে লিখিতভাবে দেওয়া হয়।
অধিবেশনের একপর্যায়ে ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর জেলার অন্তর্গত কৈলাসহরের একটি স্কুলের প্রশ্নপত্র নিয়ে সরগরম হয়ে উঠে বিধানসভা। প্রশ্নোত্তর পর্বের পর বিধানসভার মুখ্য স্বচেতক কল্যানী রায় শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথের কাছে জানতে চান একটি স্কুলের মাসিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিজেপির সম্পর্কে লিখতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে সিপিআই (এম) দলের পক্ষে দলের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে। দফতর কি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে?
উত্তরে মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, তিনি সংবাদ মাধ্যমে তা দেখার পর সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অনুমোদিত পাঠ্য বই দেখে তিনি আবার নির্দেশ দেন যে ঐ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেনো কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়। এর কারণ স্কুলের পাঠ্য বইতেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিষয়ে লেখা রয়েছে। এমনকি ভোট, ভোটে রিগিংয়ের মতো স্পর্শ কাতর বিষয় উল্লেখ রয়েছে। তিনি এমন কিছু বই বিধানসভায় দেখান যেগুলোতে এ সব বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বইগুলো বামফ্রন্ট সরকারের সময় ত্রিপুরা রাজ্যের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়ে ছিলো। দীর্ঘ বছর বামফ্রন্ট রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের অনৈতিক বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে এসেছে এবং সমালোচনা করার আগে বিজন ধরের সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিৎ ছিলো। বিজেপি'কে প্রশ্ন কর অনৈতিক কিছু হয়নি বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
এসসিএন/ওএইচ/