শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তাপমাত্রা ছিলো ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।
এই শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। তীব্র শীতের কারণে সাধারণ মানুষজন ঘর থেকে বের হতে চাচ্ছেন না। তাই রাজধানী আগরতলাসহ অন্য এলাকার বাজারগুলিতে সকাল-বিকেলে মানুষের সংখ্যা খুব কমই লক্ষ করা যাচ্ছে। সন্ধ্যা নামার কিচ্ছুক্ষণের মধ্যে বাজারগুলি মানুষশূন্য হয়ে পড়ছে।
তীব্র শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন বস্তি ও খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষজন। সেইসঙ্গে শীতে কাবু গৃহপালিত প্রাণীরা। শীতের সঙ্গে কুয়াশার কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। তাই কষ্ট আরও তীব্র আকার নিচ্ছে। এমন অবস্থায় কবে শীতের দাপট কমবে এই অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষ।
তবে শিগগির শীত কমে যাওয়ার আশ্বাস দিতে পারছে না আবহাওয়া অধিদফতর। তাদের দেওয়া পূর্বাভাস বলছে, আগরতলাসহ রাজ্যে আরও ক’দিন চলবে শীতের দাপট। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
এদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশে তাপমাত্রা ৮ থেকে ২২ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। নাগাল্যান্ডের তাপমাত্রা ৩ থেকে ১৬ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে, মণিপুর ৫ থেকে ২১ ডিগ্রি, মিজোরাম রাজ্যে ৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি, মেঘালয় রাজ্যে ২ থেকে ১১ ডিগ্রি এবং আসাম রাজ্যে ৯ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সব মিলিয়ে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত কাঁপছে শীতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
এসসিএন/আরআর