শনিবার (৫ জানুয়ারি) আগরতলা সফরে আসেন অমিত সাহ। ত্রিপুরা সফরের প্রথম দিন সন্ধ্যায় রাজ্যের অতিথিশালায় আইপিএফটি সভাপতি তথা ত্রিপুরা সরকারের মৎস্য এবং রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী এনসি দেববর্মার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে দেখা করেন।
সনদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় হলো- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জনজাতি সংরক্ষিত পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি থেকে আইপিএফটি প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া, ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিদের স্বশাসিত এলাকায় নিয়ে তিপ্রাল্যান্ড নামে আলাদা রাজ্য গঠন করা, ককবর ভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি স্বরূপ অষ্টম তফসিলে সামিল করা, ককবরককে রোমান হরফে লেখার ব্যবস্থা করা, ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে জনজাতিদের জন্য যেসব আসন সংরক্ষিত আছে সেগুলো দ্রুত পূরণ করা, বিজেপি এবং আইপিএফটি দলের মধ্যে আরও মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলা ইত্যাদি।
রোববার (৬ জানুয়ারি) আইপিএফটি দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল দেববর্মা সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান।
সব শুনে অমিত সাহ বলেছেন, এ অল্প সময়ে লোকসভা আসনে ভাগাভাগির বিষয়টির সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তী সময় উভয় দলের নেতৃত্বরা দিল্লি গিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জোট শরিক হিসেবে আইপিএফটি আশা করছে, বিজেপি একটি আসন তাদের জন্য ছেড়ে দেবে। আর যদি বিজেপি পূর্ব ত্রিপুরা আসনটি তাদের ছেড়ে না দেয়, তবে দু’টি আসনেই আইপিএফটি দল থেকে প্রার্থী দেওয়া হবে। এর জন্য আইপিএফটি দল থেকে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে বলেও জানান মঙ্গল দেববর্মা।
তবে বিজেপি-আইপিএফটি জোটের পরিণতি কি হয় তা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। আর এর জন্য রাজ্যবাসীকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/