শনিবার (২৬ জানুয়ারি) ত্রিপুরার আগরতলার আসাম রাইফেলস ময়দানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল অধ্যাপক কাপ্তান সিং সোলাঙ্কি।
তিনি ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি হুড খোলা গাড়িতে করে আসাম রাইফেলস ময়দান প্রদক্ষিণ করেন।
এ সময় সারিবদ্ধভাবে মাঠে দাঁড়িয়েছিলো সিকিউরিটি বিভাগের সি এস এফ, আসাম রাইফেলস, সি আর পি এফ, টি এস আর, আসাম পুলিশ, ত্রিপুরা পুলিশের পুরুষ-নারী শাখা, হোমগার্ড এবং ননসিকিউরিটি বিভাগের এন এস এস, স্কাউট অ্যান্ড গাইড, এন সি সি’র সদস্যরা।
সবমিলিয়ে এইদিন প্যারেডে সিকিউরিটি ক্যাটাগরিতে ১০টি ও ননসিকিউরিটি ক্যাটাগরিতে ছয়টি বাহিনী সামিল হয়েছিলো।
রাজ্যপালের মাঠ পরিদর্শন শেষে বাহিনীর সদস্যরা রাজ্যপালকে সালামি অভিবাদন জানান। সারাবছর নিজ নিজ কাজ থেকে যেসব পুলিশ অফিসাররা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন তাদের পুরস্কার তুলে দেন রাজ্যপাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মুখ্য সচিব এল কে গুপ্তা, ত্রিপুরা পুলিশের মহা-নির্দেশক (ডিজি) এ কে শুক্লাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, বৈচিত্রের ঐক্য হচ্ছে ভারতের মূলভিত্তি। এখানে জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বিভেদের কোনো স্থান নেই। দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি ত্রিপুরা সরকারও রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সড়কের পাশাপাশি রেল ও নৌ যোগাযোগ স্থাপনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া ত্রিপুরার উত্তরপূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি স্থাপন করা হবে।
কৃষকদের অবস্থার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে। এবছরই প্রথম সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হয়েছে। রাজ্যের উৎপাদিত আনারস বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের এবছরই প্রথম সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়া শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে ত্রিপুরাকে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলে সরকার কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসসিএন/এএটি