রোববার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আগরতলার কৃষ্ণনগর এলাকার বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরার মাদক সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য্য।
এছাড়া ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৯০ কেজি গাঁজা, ২০১৬ সালে ৪ হাজার ৮৮০ কেজি গাঁজা, ২০১৭ সালে ৮ হাজার ৫৯০ কেজি গাঁজা, ২০১৮ সালে ৬৫ হাজার ৩৬৪ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে নিষিদ্ধ কফ সিরাপ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৯ বোতল জব্দ হয়েছে। ২০১৫ সালে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছে মোট ৭২টি, ২০১৬ সালে মামলা হয়েছে ৫৬টি, ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে ৮৩টি ও ২০১৮ সালে মামলা হয়েছে ৬৬০টি।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়েছে মোট ৬৭ জন। ২০১৬ সালে গ্রেফতার হয়েছে ৬২জন, ২০১৭ সালে গ্রেফতার হয়েছে ৬৫জন।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬০ জন। এর মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ৪৩৫ জন এবং কারাগারে রয়েছেন ২২৫ জন। ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জব্দ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৫ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৩০৭ বোতল নিষিদ্ধ কফ সিরাপ, ৭ হাজার ২৯৬ পিস নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ৬ হাজার ২৬১টি গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। মাদক সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ১০টি। মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হয়েছে ৮জন বলেও জানান তিনি।
এসব তথ্য থেকে বুঝা যায় কোন সরকার রাজ্যবাসীর প্রতি কতটুকু আন্তরিক। বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান না করে নেশার অন্ধকার সামরাজ্যে ঠেলে দিয়েছিলো বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/