শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আগরতলার আস্তাবল ময়দানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিট নাগাদ বিশেষ প্লেনে আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দরে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে ত্রিপুরার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্যের একটি প্রতিকৃতির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন মোদী। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আসা হয় আগরতলার আস্তাবল ময়দানে।
সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে মোদীকে ফুল এবং জনজাতিদের রিসা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর রিমোটের মাধ্যমে গোমতী জেলার গর্জি থেকে বিলোনিয়া পর্যন্ত নবনির্মিত রেলপথের উদ্বোধন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। একইভাবে পশ্চিম জেলার নরসিংগড় এলাকায় নবনির্মিত ভবনে রাজ্যের প্রথম ট্রিপল আইটি ইনস্টিটিউটের সূচনাও করেন তিনি। তারপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের লেখা ‘আধুনিক ত্রিপুরার শিল্পকার মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য’ শিরোনামের বইয়ের মলাট উন্মোচন করেন।
এরপর মোদী আস্তাবল ময়দানে উপস্থিত হাজারো জনতার উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ত্রিপুরা রাজ্যে (বাম) সরকার কোনো কাজ করেনি। বিজেপি সরকার ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক যোগাযোগ, ইন্টারনেট, আকাশপথের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের সহযোগিতায় সেদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার নৌপথে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আশুগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরাসহ উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়ন করা হচ্ছে। গোমতী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে জাহাজ চালানো হবে। এর ফলে ত্রিপুরা শুধু উত্তর-পূর্ব ভারতেরই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্য হাব হয়ে উঠবে।
আস্তাবল ময়দানের কর্মসূচি শেষেই দিল্লি ফিরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসসিএন/এইচএ/