এদিন সকাল থেকে বিভিন্ন বয়সী মানুষ রঙ খেলায় মেতে ওঠেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তায় উৎসাহী মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়।
অনেকে আবার সংঘবদ্ধভাবে শহরের বিভিন্ন পার্কে এসে রঙ খেলেন। আট থেকে আশি নানা বয়সী মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন।
এদিকে উজ্জ্বয়ন্ত রাজপ্রাসাদে কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণকেও রঙ দিয়ে দোলের শুভেচ্ছা জানান দলের কর্মী সমর্থকরা। তিনিও রাজ্যবাসীকে দোলের শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে রাজধানীর পার্শবর্তী আখাউড়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরাও দোলের আনন্দে মেতে ওঠেন। তারা সীমান্তের ইন্টিগ্রেডেট চেকপোস্টের ভেতরে নিজেদের মধ্যে রঙ খেলে, নেচে গেয়ে আনন্দ করেন। তারা নিজ নিজ পরিবার থেকে দূরে থাকলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে সব জওয়ানরা নিজেরাই আনন্দে মেতে ওঠেন।
আনন্দের এই উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক ছিলো ত্রিপুরা পুলিশ এবং পুলিশের ট্রাফিক ইউনিট। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ দ্রুত বাইক চালকদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক নিয়ে বা একটি মোটরবাইকে দুইজনের বেশি আরোহী থাকলে তাদের জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ট্রাফিক ইউনিটের এস পি পিনাকী সামন্ত। তিনি বলেন, যারা গতিসীমা লঙ্ঘন করে মোটরবাইক চালিয়েছেন তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে ত্রিপুরা জুড়ে দোল উৎসব ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ২১ মার্চ, ২০১৯
এসসিএন/আরআর