শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্রশত বার্ষিকী ভবনের সামনে তাদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা, আইন ও শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, টিইউআইপিসি'র সভাপতি অনন্ত দেববর্মা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড্যানিয়েল বরকসহ সংগঠনের অন্য নেতারা।
সমাবেশ মঞ্চে সংগঠনের নেতারা তাদের ১৯ দফার দাবির সনদ উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
তাদের এ দাবি সনদের মধ্যে রয়েছে-বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সময় ত্রিপুরা সরকার ও ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়। এ চুক্তিতে উল্লেখ ছিল- রাজ্যের বিভিন্ন থানায় তাদের অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অনেকে আবার জেলে রয়েছেন। তাদের সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য ৫০০ কোটি রুপির প্যাকেজ দিতে হবে। তাদের সবার জন্য সরকারের তরফ থেকে ভাতা চালু করতে হবে। প্রতিটি আত্মসমর্পণকারীকে ২৫ একর করে সরকারি জমি দিতে হবে। যাতে তারা রাবারসহ অন্যান্য ফসল করতে পারেন। ৭০ শতাংশ ছাড়ের ভিত্তিতে তাদের ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ঋণ দিতে হবে। তারা আগরতলায় কোনো সরকারি কাজের জন্য এলে তাদের থাকার জায়গা নেই, তাদের জন্য সরকারকে আগরতলায় একটি ১০০ শয্যা বিশিষ্ট অতিথিশালা তৈরি করে দিতে হবে। তাদের ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে নবোদয়, একলব্য এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলোতে পড়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, চুক্তি করে স্বাভাবিক জীবনে চলে আসার দীর্ঘ বছর কেটে গেলেও সরকার তাদের অনেক দাবি দাওয়া এখনো পূরণ করেনি। তাই তাদের দাবি পূরণের জন্য এখন আন্দোলন করতে হচ্ছে।
উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা বলেন, তাদের দাবির সনদ পেয়েছি। এগুলো পড়ে দেখি কি কি করা যায়। তাদের জন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, এ সরকার সবার জন্য কাজ করতে চায়। তাই তাদের কোনো চিন্তা করার কারণ নেই। তাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকার ভাববে এবং পূরণ করার চেষ্টা করবে।
অপরদিকে আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, সরকার তাদের মামলাগুলোর বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তার একটি তালিকা তৈরি করে দিতে হবে সরকারের কাছে।
এদিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনের সদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজন সমাবেশে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এসসিএন/আরবি