প্রথম ধাপে ৯১ আসনের নির্বাচনের মধ্যে এই দুই রাজ্যের রয়েছে তিনটি আসনেও ভোট হবে। পশ্চিমঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে এ ধাপে ভোট হবে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার আসনে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এ পর্বে যতোগুলো রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিষ্পলক দৃষ্টি পশ্চিমবঙ্গের দিকে।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারের মিছিল, মিটিং, শোডাউন শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায়। ভোটের প্রচারে সভা করেছেন ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলিপুরদুয়ারে লড়াই হতে যাচ্ছে বিজেপি প্রার্থী জন বারলা, কংগ্রেসের প্রার্থী মোহনলাল বসুমাতা, তৃণমূলের প্রার্থী দশরথ তিরকে, আরএসপি প্রার্থী মিলি ওঁরাও-এর মধ্যে। আর কোচবিহারে লড়াই হচ্ছে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের প্রার্থী পিয়া রায় চৌধুরী, তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ অধিকারী এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দচন্দ্র রায়ের মধ্যে।
জানা গেছে, এই দুই আসনে ১৮ জন প্রার্থীর বিপরীতে ভোটার রয়েছেন ৩৪ লাখ ৫৪ হাজার ২৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৬ আর নারী ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৫১ জন্য। দুই আসনে ভোটকেন্দ্র রাখা হয়েছে তিন হাজার ৮৪৪টি। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারের এক হাজার ৮৩৪টি আর কোচবিহারে দুই হাজার ১০টি।
এদিকে, ত্রিপুরায়ও একই অবস্থা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এবার ভোটের পালা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হবে ৯০ আসনের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে এ আসনেও ভোটগ্রহণ। যা ঘিরে হয়ে গেছে বিজেপি-কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ। বাদ যায়নি বরাবরের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়াও।
ত্রিপুরা পশ্চিম আসনে প্রার্থী ১৩ জন। মোট ভোটার ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮১। এর মধ্যে পুরুষ ছয় লাখ ৮২ হাজার ৪৪ আর নারী ছয় লাখ ৬৫ হাজার ৩২৭ জন।
দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরা রাজ্যের বাকি আরেক আসন পূর্ব ত্রিপুরার ভোটগ্রহণ হবে দ্বিতীয় ধাপে, ১৮ এপ্রিল।
পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ আসনে। ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে এ রাজ্যের পাঁচটি আসন- বালুরঘাট, জঙ্গিপুর, মালদহ দক্ষিণ, মালদহ উত্তর ও মুর্শিদাবাদে ভোটগ্রহণ হবে।
২৯ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ভোট হবে এ রাজ্যের আটটি আসনে। সেগুলো হলো-আসানসোল, বহরমপুর, বর্ধমান পূর্ব, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট। ৬ মে পঞ্চম ধাপে ভোট হবে আরামবাগ, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হুগলি, হাওড়া, শ্রীরামপুর ও উলুবেড়িয়া আসনে। ১২ মে ষষ্ঠ ধাপে ভোট হবে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, কাঁথি, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও তমলুক; আটটি আসন।
আর সর্বশেষ সপ্তম ধাপে ১৯ মে ভোট হবে রাজ্যটির রাজধানী কলকাতাসহ বাকি সব আসন। সেগুলো হলো- বারাসাত, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, যাদবপুর, জয়নগর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর ও মথুরাপুর।
সব ধাপে ভোটগ্রহণের পর ২৩ মে হবে গণনা। সেদিনই ঘোষণা হতে থাকবে ফলাফল। এতে বোঝা যাবে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল লোকসভায় কেমন প্রতিনিধি পাঠাতে পারলো, আর কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে কেমন লোকসভার আসন দখলে নিতে পারলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
টিএ/এইচএ/