সকাল থেকে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়ি মন্দিরে পূণার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ এসেছেন বছরের প্রথম দিন পূজা দিয়ে নিজের ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করতে, আবার অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের হালখাতা নিয়ে এসেছেন।
মন্দিরে আসা সাধনা সরকার নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের প্রথম বছর শশুরবাড়ি। তাই পূজো দিতে লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়িতে এসেছি। সারাবছর যেন স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সুখে থাকতে পারি তাই প্রার্থনা করেছি।
গৌতম নামে ভোজন রসিক এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, বছরের প্রথম দিন বলে কথা। পহেলাদিন যদি ভালো খাবার না খাই, তাহলে সারাবছর ভালো খাবার ভাগ্যে ঝুটবে না। এর যৌক্তিকতা থাক বা না থাক তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ ভোজন রসিক ওই ব্যক্তি। তাই তিনি সকাল সকাল ব্যাগ হাতে মাছ বাজারে এসেছেন।
আগরতলার লেক চৌমুহনী বাজারের ভোলা নামে একজন মাছবিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি বাজারে উঠেছে নানা প্রজাতির মাছ। বছরের প্রথমদিনে তাই মাছের দাম একটু বেশি। যদিও বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০০থেকে ২০০রুপি পর্যন্ত বেশি। বাজারে অন্যান্য মাছের সঙ্গে দেখা গেলো ইলিশও, তবে সংখ্যায় খুব সামান্য। প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ' রুপি করে।
এ সময় তো বাংলাদেশে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তবে কি করে বাজারে ইলিশ এলো? এই প্রশ্ন শুনে নারায়ণ নামে আরেক মাছবিক্রেতা বলেন, দাদা টেহা, টেহা দিলে সব সম্ভব। তবে ইলিশের চাহিদা কম বলেও জানান তিনি।
এদিকে মাছ, মাংস থেকে সবজির বাজারে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। একইভাবে মিষ্টির দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ্য গেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকেই মিষ্টি দোকানে মিষ্টিও দধি শেষ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও আগরতলাবাসী ধুমধামের সঙ্গে বর্ষবরণের মেতেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি