ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বর্ষবরণে মেতেছেন ভারতীয় বাঙালিরা

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
বর্ষবরণে মেতেছেন ভারতীয় বাঙালিরা ধুমধামের সঙ্গে বর্ষবরণের করছেন আগরতলাবাসী। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দেশটিতে উদযাপিত হচ্ছে নববর্ষ। ১৪২৫ সালকে বিদায় জানিয়ে বাংলার ১৪২৬ সালকে বরণ করে একাধিক সাংস্কৃতিক সংস্থা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ডিজিটাল যুগের দৌলতে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শুভেচ্ছা বিনিময়। এ থেকে পিছিয়ে নেই রাজনৈতিক নেতা ও অভিনেতারা, তারা শুভেচ্ছা বার্তা লিখে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ভক্তকূলে।

সকাল থেকে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়ি মন্দিরে পূণার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ এসেছেন বছরের প্রথম দিন পূজা দিয়ে নিজের ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করতে, আবার অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের হালখাতা নিয়ে এসেছেন।

বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজবছরের প্রথম দিন হালখাতায় পূজা করে ব্যবসা শুরু করছেন। আবার অনেক ব্যবসায়ী নিজেদের প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধি দাতা গণেশের পূজা দিয়ে ব্যবসার শুরু করছেন।

মন্দিরে আসা সাধনা সরকার নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, বিয়ের প্রথম বছর শশুরবাড়ি। তাই পূজো দিতে লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়িতে এসেছি। সারাবছর যেন স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সুখে থাকতে পারি তাই প্রার্থনা করেছি।

গৌতম নামে ভোজন রসিক এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, বছরের প্রথম দিন বলে কথা। পহেলাদিন যদি ভালো খাবার না খাই, তাহলে সারাবছর ভালো খাবার ভাগ্যে ঝুটবে না। এর যৌক্তিকতা থাক বা না থাক তাই ঝুঁকি নিতে নারাজ ভোজন রসিক ওই ব্যক্তি। তাই তিনি সকাল সকাল ব্যাগ হাতে মাছ বাজারে এসেছেন।

আগরতলার লেক চৌমুহনী বাজারের ভোলা নামে একজন মাছবিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি বাজারে উঠেছে নানা প্রজাতির মাছ। বছরের প্রথমদিনে তাই মাছের দাম একটু বেশি। যদিও বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০০থেকে ২০০রুপি পর্যন্ত বেশি। বাজারে অন্যান্য মাছের সঙ্গে দেখা গেলো ইলিশও, তবে সংখ্যায় খুব সামান্য। প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ' রুপি করে।

এ সময় তো বাংলাদেশে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। তবে কি করে বাজারে ইলিশ এলো? এই প্রশ্ন শুনে নারায়ণ নামে আরেক মাছবিক্রেতা বলেন, দাদা টেহা, টেহা দিলে সব সম্ভব। তবে ইলিশের চাহিদা কম বলেও জানান তিনি।

এদিকে মাছ, মাংস থেকে সবজির বাজারে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। একইভাবে মিষ্টির দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ্য গেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকেই মিষ্টি দোকানে মিষ্টিও দধি শেষ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও আগরতলাবাসী ধুমধামের সঙ্গে বর্ষবরণের মেতেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।