ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

গ্রীষ্মের গরমে নাজেহাল আগরতলাবাসী

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
গ্রীষ্মের গরমে নাজেহাল আগরতলাবাসী আগরতলায় তীব্র গরম। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ঋতুচক্রের নিয়ম মেনে বছরের শেষ বসন্তকে বিদায় জানিয়ে প্রকৃতিতে এসেছে গ্রীষ্মকাল। তাই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্ধমুখী। কথায় আছে ‘গ্রীষ্মের কাঠফাঁটা রোদে গৃহস্থের উঠান ফাটে’। প্রতিবছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকাল শুরুতেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উপরের দিকে উঠছে।

ত্রিপুরার আবহাওয়া অধিদফতরের জানাচ্ছে,  এ সপ্তাহে রাজ্যের রাজধানী আগরতলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। একইভাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের যাবে।

তবে এই গরমে ত্রিপুরাবাসীর জন্য কোনো আশার কোনো পূর্বভাস দিতে পারেনি, কারণ এই সপ্তাহে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টি হওয়া সম্ভাবনা নেই।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে তাপমাত্রার পারদ ৩৪ ডিগ্রিতে উঠেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। আর দুপুর গড়াতেই রাস্তাঘাট ও রাজধানীর ব্যস্ততম হরিগঙ্গা বসাক রোড ফাঁকা হয়ে যায়।

রাজধানীর কামান চৌমুহনী এলাকায় রাস্তার পাশে দেখা গেছে একাধিক ডাবের দোকান।

কল্যাণ দেব নামে এক ডাববিক্রেতা বাংলানিউজে বলেন, সারাবছরই কম-বেশি ডাব বিক্রি করি। তবে তীব্র গরমে বাড়ালে ক্রেতাও বেড়ে। এখন গড়ে দৈনিক ১৫-১৬শ’ডাবটি বিক্রি করছি। গতবার একদিনের তীব্র গরমে দুই থেকে আড়াই হাজার ডাব বিক্রি করেছিলাম। তাই এবারও ডাব ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমবে না বরং বাড়বে।

গত বছরের চেয়ে এবার ডাবের দাম বেড়েছে কি? এর উত্তরে তিনি জানান বাড়েনি। ডাবের আকার অনুসারে ৩০ থেকে ৪০ রুপি করে এক একটি বিক্রি করছেন। গতবছরও দাম তাই ছিলো।

রাজধানীর অফিস লেনের জেলা প্রশাসকের অফিসের বাইরে গাড়িতে করে শরবত পানি নিয়ে বসেছেন বান্টি দাস। তার কাছে পুদিন, আম এবং কোকের স্বাদের সোডাপানি রয়েছে। প্রতি গ্লাস ১০রুপি করে বিক্রি করছেন। বিক্রি ভালোই হচ্ছে বলে জানান।

সোডা পানি পান করতে করতে মুন্না সরকার বাংলানিউজকে বলেন, এখনও মানুষ চাতক পাখির মতো বৃষ্টির দিকে চেয়ে রয়েছে।

স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসক রুবী দেববর্মার পরামর্শ বছরের এ সময় দিনে প্রচণ্ড গরম আর রাতে হালকা ঠাণ্ডা পড়ে। এর প্রভাবে শিশু-কিশোররা বেশি অসুখে ভুগে। তাই তাদেরে এই সময়টাতে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া বড়দের দুপুরের দিকে প্রয়োজন  ছাড়া বাইরে না বেরুনোই উচিত। বেরুতে হলে সঙ্গে ছাতা ও পানির বোতল অবশ্যই রাখতে হবে।

ভালো হয় যদি প্রতিদিন লেবুর শরবত, আখের, ডাবের পানি পান করা যায়। তবে বাইরে দোকানে কাটা ফল না খাওয়া পরামর্শ দেন তিনি। এতে উপকারের পরিবর্তে পেটের অসুখ দেখা দিতে পারে বলেও জানান। এ সময় সানস্ট্রোকের প্রবণতা থাকে। তাই সাবধানে চলাফেরা করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।