মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় আগরতলা রেলস্টেশন থেকে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে দ্রুতগামী ট্রেনটি।
ত্রিপুরা ছাড়িয়ে আসামে প্রবেশের মুখে হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিতে থাকে ট্রেনটি।
দেখা যায়, ট্রেনের ইঞ্জিনসহ একাধিক বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনগর রেলস্টেশনে খবর দেওয়া হয়। দুপুর নাগাদ রেলের ট্রাফিক পরিদর্শক, ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসকসহ একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।
লাইনচ্যুত ট্রেনকে আবার লাইনে তোলার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্মনগর রেলস্টেশনের ম্যানেজার রানাব্রত দেব।
এ দুর্ঘটনায় যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।
রেলস্টেশনের ম্যানেজার বলেন, ট্রেনচালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো ভারতের অন্যতম দ্রুতগামী এ ট্রেন। একটু হলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বগি উল্টে যেতে পারতো। আর তা ঘটলে পরিণাম হতো ভয়ঙ্কর।
এ দুর্ঘটনার ফলে আগরতলার থেকে অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ত্রিপুরা সেকশনের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটিকে লাইনে না তোলা পর্যন্ত অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় স্টেশনেই বসে রয়েছেন তারা।
তবে আগরতলা রেলস্টেশনের ম্যানেজার চন্দ্র দীপ যাদব জানিয়েছেন, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার কোনো খবর তার কাছে আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এসসিএন/একে/এএটি