চলতি বছরে এ ধরনের ঘটনায় প্রায় ৬ লাখ রুপি উদ্ধার করেছে রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।
শনিবার (০৪ মে) ত্রিপুরা পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সাইবার অপরাধ শাখার সুপারিনটেনডেন্ট সরস্বতী আর।
তিনি বলেন, সাইবার অপরাধের নতুন সংযোজন হচ্ছে স্বাস্থ্য বিমার নামে প্রতারণা। তথ্য আছে, স্বাস্থ্য বিমার নাম করে প্রতারক চক্র ৫০ জনেরও বেশি মানুষের কাছ থেকে অর্থ লুট করেছে।
জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি স্বাস্থ্য বিমার জন্য আসে, তবে ঠিকমতো তথ্য নেবেন। তারা যে সুবিধা দেবে ও সুবিধাগুলো যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া যাবে বলে কাগজপত্র বা মৌখিকভাবে জানাবে, ওইসব প্রতিষ্ঠানে নিজেরা খোঁজ নেন যে, তাদের দেওয়া তথ্য সঠিক কি-না।
সরস্বতী আর বলেন, সাধারণত কেউ যখন রোগে আক্রান্ত হন বা পরিবারের কেউ অসুস্থ হন, তখন তারা এমনিতেই চিন্তিত থাকেন। এ দুর্বলতার সুযোগটাই নেয় প্রতারকরা।
ত্রিপুরা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অনলাইনে ব্যাংকের ডেবিট কার্ড ও অ্যাকাউন্ট থেকেও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। তাই অপরিচিত কেউ ফোনে এটিএম কার্ড সম্পর্কে তথ্য চাইলে তা দেওয়া যাবে না। এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
‘কারণ প্রতারকরা কোন অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তুলে খুব দ্রুত অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে অর্থ ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, ‘ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসসিএন/একে