শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
বুধবার (১৫ মে) রাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয় রাজধানী আগরতলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা।
ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে যায় বহু ঘরের চাল। ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ, টেলিফোনের খুঁটি। দু’দিন কেটে গেলেও এখনো এ এলাকায় বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট ও ক্যাবল টেলিভিশনের পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়নি। বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় দু’দিন ধরে কলেজটিলার পানি সংশোধনাগারটিও বন্ধ আছে। এর ফলে রাজধানীর একটি বিস্তৃর্ণ অঞ্চলজুড়ে পানীয়জল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী কলেজটিলা এলাকা থেকে পরিদর্শন শুরু করে জগহরিমুড়াসহ আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। সেইসঙ্গে তিনি জেনে নেন প্রশাসন থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে আর্থিক সহায়তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে তা তারা পেয়েছেন কিনা। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই জানান তারা আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।
এছাড়া রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত অন্য এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করার আহ্বান জানান।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা রাজ্যে ঝড়ের কারণে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হিসেব করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণের উপর নির্ভর করে আরো আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/