আগরতলাসহ ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি বাজারে আসতে শুরু করেছে মিষ্টি, রসালো এ ফলটি। সুস্বাদু কুইন প্রজাতির আনারস একমাত্র ত্রিপুরা রাজ্যে চাষ হয়।
সোমবার (২০ মে) আগরতলার সবচেয়ে বড় খুচরা ফলের বাজার প্যারাডাইস এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মৌসুমী ফল বিক্রেতারা প্রচুর সংখ্যক কুইন আনারস নিয়ে বসেছেন। আনারসের আকার অনুসারে জোড়া ৮০, ৬০ এবং ৫০ রুপি করে বিক্রি করছেন বলে বাংলানিউজকে জানান বিক্রেতা হরেকৃষ্ণ দাস।
বিক্রি কেমন হচ্ছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম দিক। মাত্র ৬ থেকে ৭ দিন হলো কুইন আনারস বাজারে এসেছে। তাই দাম একটু বেশি, ফলে বিক্রি কিছুটা কম। তারপরও দিনে গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার রুপির আনারস বিক্রি হচ্ছে।
পাশের আরো এক আনারস ব্যবসায়ী বিজন রায় জানান, এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ফলন তুলনামূলকভাবে কম, তাই গতবছরের তুলনায় এবছর দাম একটু বেশি।
আগে চাষিরা আনারসের সঠিক মূল্য পেতেন না তাই বহু চাষি বাগান নষ্ট করে রাবার চাষ করেছেন। আবার অনেক চাষি আনারস বাগানের যত্ন নেননি দীর্ঘ বছর। এসব কারণে ফলন কমেছে। তবে গতবছর থেকে সরকার আনারস দেশের বিভিন্ন রাজ্যসহ বিদেশে রপ্তানির যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে চাষিরা আবার আনারস চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এ কারণেও আনারসের দাম কিছুটা বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
কুইন আনারস সিপাহীজলা জেলার মেলাঘর, মোহনভোগ, বিশ্রামগঞ্জ, পশ্চিম জেলার হেজামারা, মোহনপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে আসে।
কুইন প্রজাতির পাশাপাশি কিউই প্রজাতির আনারসও ত্রিপুরা রাজ্যে চাষ হয়। কিউই প্রজাতির আনারস সবচেয়ে চাষ হয় ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট, দারচৈ ইত্যাদি এলাকায়।
মূলত বর্ষার সময় তিন মাস কুইন আনারস উৎপাদিত হয়। অপরদিকে কিউই আনারস প্রায় সারা বছর ত্রিপুরা রাজ্যে পাওয়া যায় বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এসসিএন/এএ