ভারী বৃষ্টির ফলে শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল থেকে মানুষের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। উত্তর জেলার অন্তর্গত বটরসি, লাতুগাঁও, টঙ্গিবাড়ি, দীগলবাঘ, শিববাড়ি, শাকাইবাড়ি এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি পানিতে তালিয়ে গেছে।
এদিকে সৃষ্ট বন্যায় বিভিন্ন এলাকা থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিনশো মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধার করে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার খবর পেয়ে ধর্মনগর উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রথমে সতর্ক করা হয় ও পরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পানিবন্দিদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন।
ধর্মনগর উপজেলার সহকারী কর্মকর্তা সুভাষ দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাত থেকে পানিবন্দি প্রায় তিনশো মানুষকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে ও রাতে ও শনিবার সকালে বিশুদ্ধ পানি, খাবার দেওয়া হয়েছে।
সুভাষ দত্ত আরও বলেন, এইদিনও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা বন্যা দুর্গত এলাকায় ঘুরে দেখছেন। এখনও কোনো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আটকা রয়েছেন কিনা? যাদেরই পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতির উপর লাগাতর নজর রাখছে। বন্যা দুর্গতদের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হচ্ছে, পরে তালিকা অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে যোগ করেন ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি