শনিবার (২৫ মে) তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, শাসক দলের দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণের হাত থেকে বাদ যায়নি বামফ্রন্ট পরিচালিত আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র সমর চক্রবর্তীর বাড়িটিও।
পবিত্র কর বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতি বাহিনী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ, তাদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর, লুট ও জ্বালিয়ে দিয়ে শান্ত হচ্ছে এমনটা নয়, তারা বিজয় উৎসবের নামে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাছে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে।
‘তাদের দাবি মতো চাঁদা দিতে না পারলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না বৃদ্ধ নারী-পুরুষও। সব মিলে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর কয়েকশ’ বিরোধী দলের সমর্থক শাসকদলীয় দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণে আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের নির্যাতনে অনেকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র যেতেও বাধ্য হয়েছেন। ’
পবিত্র কর আরও বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময় এমন একটি অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলাম। তাই বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজি) একে শুক্লা’র সঙ্গে দেখা করে বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলাম। তখন তিনি নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন, কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই তিনি করেননি। বিরোধীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে বিরোধীদলের আনা এই অভিযোগ সম্পর্কে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যে কেউ কোনো দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতেই পারে। বিজেপিকে মানুষ উন্নয়ন করার দায়িত্ব দিয়েছে, দল এখন সেটা করবে। সন্ত্রাসবাদ করার সময় নেই তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এসসিএন/টিএ