রোববার (২৭ মে) দিনগত রাতে কলমচৌড়া উপজেলার বক্সনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মোহম্মদ রাসেল আলমের সঙ্গে ছয় মাস আগে বিয়ে হয় একই জেলার বিশালগড় এলাকার বাসিন্দা পারভিন আক্তারের।
স্থানীয়রা জানান, স্বামীর অনুপস্থিতিতে পারভিনকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো তার দুই ভাসুর, এমনকি কুপ্রস্তাব দেয় তারা। রোববারও নির্যাতন চালালে পারভিনকে তার শ্বশুর ও শাশুড়ি কলমচৌড়া থানায় নিয়ে যান এবং তার দুই ভাসুরের নামে মামলা করেন।
এরপর মামলা দায়েরের খবর শুনে দুই ভাসুর মিলে রোববার রাতে পারভিনকে একটি ঘরে আটকিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তার আত্মচিৎকারে শ্বশুর ও শাশুড়িসহ প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় বক্সনগর প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে আগরতলার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শরীরে ৮০শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিসিৎসকরা।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি'র মহিলা মোর্চার এক প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গিয়ে পারভিনকে দেখে আসেন। এসময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি পারভিনকে সব ধরনের সহায়তার কথা জানান তারা।
কলমচৌড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রাজীব সাহা বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনা পর থেকে অভিযুক্ত দুই ভাসুর পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এসসিএন/ওএইচ/