চলতি বছরে ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুরের মধ্য শিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো প্রলয়। পরীক্ষায় সে দু’টি বিষয়ে লেটার মার্কসসহ প্রথম বিভাগে পাস করে।
তার শরীরের পাশাপাশি অভাব অনটন ছিলো নিত্যসঙ্গী। বাবা সুজন কুমার দে, পেশায় দিনমজুর, মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। এসব প্রতিকূলতার মধ্যেও সে লেখাপড়া চালিয়ে যায় এবং সাফল্য পায়। তার এই সাফল্য দেখে রাজ্যবাসীর সঙ্গে খুশি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সোমবার (১০ জুন) প্রলয়কে আগরতলায় তার সরকারি বাস ভবনে নিয়ে আসেন ও তার কথা বলেন।
প্রলয় নিজে মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনে কি করে সে পা দিয়ে লেখে তা দেখায়। তার সঙ্গে তার বাবা-মাও মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনে আসেন।
তার এই সাফল্য দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ চাইলে যেকোনো কাজ করতে পারে তার এক দৃষ্টান্ত হলো প্রলয়। সে পা দিয়ে লিখে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে।
প্রলয় শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়ায় তার সব ধরনের সুবিধার পাশাপাশি পড়াশোনার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার বলে ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রলয় কুমার দেব জানায়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সে খুব খুশি। ভবিষ্যতে সে কলাবিভাগে পড়াশোনা করে অধ্যাপক হতে চায়।
কলাবিভাগে পড়াশোনা করার কারণ হিসেবে সে জানায় বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে তার সমস্যা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে প্রলয়ের পাশাপাশি তার বাবা মাও খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ১০,২০১৯
এসসিএন/এএটি