এ অবস্থায় রোগীদের সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী হন আগরতলার পার্শ্ববর্তী বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস। তিনি আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে নিজে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন।
বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীও তার কাছ থেকে সেবা নেয়। পাশাপাশি তিনি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান রাখেন যে তারা যেন রোগীদের সমস্যার কথা ভেবে অস্থায়ী বর্হিঃবিভাগ খুলে তাদের সমাধানের চেষ্টা করেন। তার এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য চিকিৎসকরাও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন। এতে কিছু সংখ্যক রোগী সেবা পায়।
বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস বলেন, আগে আমি এ পেশাতেই ছিলাম। এখন আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই তাদের সমস্যার কথা বুঝি।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা সবসময় রোগীদের সেবা দিয়ে সুস্থ করে। তবে এটা ঠিক যে, মাঝে মধ্যে দু’একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা কখনই ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করেন না। তাই বলে তাদের উপর প্রাণঘাতি আক্রমণ হতে পারে না। চিকিৎসকরা তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দিকটি মানবিকভাবে দেখা উচিত।
এইদিনে চিকিৎসকরা কর্মবিরতির কথা বললেও যেভাবে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে বর্হিঃবিভাগের বাইরে অস্থায়ীভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন তা প্রশংসার যোগ্য বলেও দাবি করেন ওই বিধায়ক।
বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে নার্গিস আক্তার নামে এক রোগী আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
তিনি এখানে এসে দেখেন যে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে। তা দেখে তিনি হতাশ হয়ে যান। বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস তখন তাকে চিকিৎসা সেবা দেন। এতে তিনি খুশি হন।
বিধায়ক ডা. দিলীপ দাস আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি তিনি আই জি এম হাসপাতাল ও আঞ্চলিক ক্যান্সার হাসপাতালে গিয়েও রোগীদের দেখেন ও অন্যান্য চিকিৎসকদের অনুপ্রাণিত করেন রোগী দেখার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
এসসিএন/এএটি