জন্ম থেকেই তিনি দু’টি চোখে দেখতে পান না। এ অবস্থায় ব্রেইল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করে মাধ্যমিক পাস করেন ও সরকারি চাকরির জন্য ছোটাছুটি করে কিছু হয়নি।
রাজধানীর হেরিটেজ পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্রি করার সময় বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় তার।
দেবব্রত কর্মকার বলেন, তার বাড়ি রাজধানীর কুঞ্জবন এলাকায়। জন্ম থেকেই তিনি দু’টি চোখে দেখতে পান না। দরিদ্রতা নিত্যসঙ্গী হওয়ার পরও পরিবারের সহায়তায় আগরতলার পার্শ্ববর্তী নরসিংগড় এলাকার ব্রেইল স্কুল থেকে ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিভাগে মাধ্যমিক পাস করেন। তখন তার মনে স্বপ্ন জেগে ছিলো হয়তো তার সরকারি চাকরি হবে ও পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে পারবেন। তাই তিনি অনেক জায়গায় ছোটাছুটি করেছিলেন সরকারি চাকরির জন্য। সাবেক সরকারের আমলে তিনি একটি দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী রেশনকার্ড পান ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভাতা হিসেবে মাসে এক হাজার রুপি করে পান। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি চাকরি বলে তার আক্ষেপ ও অভিযোগ।
নতুন সরকার আসার পর ভাতা আরো ১০০ রুপি বেড়ে হয়েছে ১১শ’ রুপি।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। এ অবস্থায় নিজেই কিছু করার চিন্তা করেন। কিন্তু কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। অবশেষে তিনি ফেরি করে খাবার বিক্রির কথা চিন্তা করেন। গত বছর থেকে এ কাজ করছেন। এখন তিনি ব্যাগে করে চানাচুর, আচার, নিমকি ইত্যাদির প্যাকেট নিয়ে রাজধানীর কুঞ্জবন ও তার আশপাশের এলাকায় ফেরি করে বেড়ান। মূলত হেরিটেজ পার্ক, রবীন্দ্র কাননে ঘুরে ফেরি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসসিএন/এএটি