শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে ‘টাউনশিপ স্কিম ইন আগরতলা সিটি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার বলেন, এই সরকারের আমলে ত্রিপুরা রাজ্যের পরিকাঠামোর অনেক উন্নতি হয়েছে।
পর্যটনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের পাশে ফেনী নদীর ওপর ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি হচ্ছে। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব সাব্রুম থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটারের কাছাকাছি হয়ে যাবে। এই রাস্তায় বাস চালালে মাত্র দুই ঘণ্টায় সাব্রুম থেকে কক্সবাজার পৌঁছে যাওয়া যাবে।
‘তখন ত্রিপুরার মানুষ আর সমুদ্র দেখার জন্য ত্রিপুরা থেকে দেড়-দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভারতের অন্য শহরে যেতে চাইবে না। আর এতে বাংলাদেশের মানুষও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে মানুষ কক্সবাজারে এশিয়ার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখতে যাবেন। পাশাপাশি সেখানে থাকবেন এবং কেনাকাটাও করবেন। ’
সাব্রুম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালুর ব্যাপারে ভারত সরকার যাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে, সে জন্য ভারত সরকারের কাছে চিঠি লিখবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
দু’দেশের মধ্যকার এ রুটে সরাসরি বাস পরিষেবা চালু হলে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারও এতে সম্মত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বর্তমানে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি বাস পরিষেবা রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা, আগরতলা স্মার্ট সিটি মিশনের চেয়ারম্যান কিরণ গিত্যেসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
এসসিএন/এসএ