বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলেছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘সীমান্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা কৌতূহল রয়েছে।
ভারত পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম দেশ। বর্তমানে এর জনসংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটির বেশি। কিন্তু এই দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই আন্তর্জাতিক সীমানা কেমন হয়, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। শুধুমাত্র উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে।
ফলে এই রাজ্যগুলোর মানুষ ছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ ভারতের সিংহভাগ মানুষেরই আন্তর্জাতিক স্থল সীমানা সম্পর্কে সেভাবে ধারণা নেই। তাছাড়া সীমান্ত ঘিরে সবারই কম-বেশি কৌতূহল রয়েছে।
কিভাবে চিহ্নিত করা হয় দু’দেশের জায়গা, কিভাবেই বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় দু’টি আলাদা দেশের মানুষকে; সীমান্তরক্ষী বাহিনী কি করে দীর্ঘ মাইলের পর মাইল সীমান্ত পাহারা দেন- এগুলোই তাদের কৌতূহলের বিষয়।
আর সাধারণ মানুষের এ কৌতূহলকে কাজে লাগিয়ে-ই সীমান্তে নতুন ধারণার এই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে চান প্রতিমা ভৌমিক।
তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ২০০ মিটার ভেতরে যে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে, তার পাশেই আছে সীমান্ত সড়ক। দেশ-বিদেশ থেকে সীমান্ত দেখতে আসা পর্যটকদের গাড়িতে করে এই রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে সীমান্ত দেখার ব্যবস্থা করা এবং নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নিচে নেমে আশেপাশের এলাকা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি।
‘এছাড়া সেখানে পর্যটকদের খাবারের ব্যবস্থাসহ স্থানীয়দের তৈরি নানা পণ্য ও সৌখিন সামগ্রী কেনার সুযোগও করে দেওয়া যায় কিনা- তাও রয়েছে আমাদের ভাবনায়। ’
এ বিষয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সের মহাপরিদর্শকের (আইজি) সঙ্গে বৈঠক করে এই ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলেও জানালেন এই এমপি। প্রতিমা বলেন, প্রয়োজনে সংসদেও বিষয়টি উত্থাপন করবো।
নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ভারতীয় এই এমপি বলেন, যদি এটা করা যায়, তাহলে এটা হবে ভারতের প্রথম সীমান্ত পর্যটনকেন্দ্র। যা দেখতে প্রচুর লোক ভিড় জমাবে। তাই শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এসসিএন/এসএ/এমএ