সরকারের এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভা সদস্য (এমপি) ও বিজেপি নেত্রী প্রতিমা ভৌমিক। বাংলানিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন তিনি।
ইতিহাসের তথ্য মতে, রাজন্য আমলে উদয়পুর ছিল ত্রিপুরার রাজধানী। এখন থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে মহারাজা গোবিন্দ মাণিক্য গোমতী জেলার এই উদয়পুরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির’। মন্দিরটির পাশে তখন গড়ে ওঠে অনেক পেড়ার দোকান। তখন থেকে এসব দোকানে কারিগররা পেড়া তৈরি করে আসছেন বংশ পরম্পরায়।
এখনো মন্দিরটির পূজার মূল প্রসাদ হচ্ছে পেড়া। গরুর খাঁটি দুধ থেকে তৈরি এই পেড়া এতো সুস্বাদু এবং এর এতোই চাহিদা ও সুনাম রয়েছে যে, ত্রিপুরা রাজ্যের অন্য মন্দিরের পাশের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের ‘পেড়া’কে উদয়পুরে তৈরি বলে চালিয়ে দেন।
বিশেষ এই খাবারটির ‘জিআই’ সনদ পেতে আবেদনের পরিকল্পনা নিচ্ছেন জানিয়ে এমপি প্রতিমা ভৌমিক জানান, এজন্য তিনি বিশেজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তার বিশ্বাস এই পেড়া জিআই সনদ পাবে।
জিআই সনদ পেলে ‘পেড়া’ ত্রিপুরার নিজস্ব সম্পদে রূপ নেবে। স্বত্বাধিকার হবে রাজ্যের। অন্য কোনো রাজ্য বা অঞ্চল এ পণ্যের দাবিদার হতে পারবে না।
প্রতিমা ভৌমিক বলেন, রসগোল্লার জিআই সনদ পেতে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা আদালত পর্যন্ত গিয়েছে। যদিও শেষে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে। উদয়পুরের ‘পেড়া’র জিআই সনদ পেতে ত্রিপুরার প্রতিযোগী কেউ নেই। তাই এর জিআই সনদ ত্রিপুরার পাওয়া নিশ্চিত বলে আশা করি। যদি এটা সম্ভব হয়, তবে বিশ্ববাসী ত্রিপুরাকে জানতে পারবে পেড়া দিয়ে। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাকে বিশ্ববাসী জানে রসগোল্লা দিয়ে।
লোকসভার এই সদস্য বলেন, উদয়পুরের ‘পেড়া’র স্বাদকে রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে দেশ এমনকি বিদেশের রসনাবিলাসীদের মুখে তুলে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অনলাইন বিপণন সংস্থা অ্যামাজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে এ ‘পেড়া’ সরবরাহে রাজি হয়েছে। শুধু প্যাকেজিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলে তারা বিক্রি শুরু করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসসিএন/এইচএ/