বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী স্থান পরিদর্শনে বের হয় এ প্রতিনিধি দল।
শুরুতেই দলটি আগরতলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে কুমিল্লা সদরের সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহারউদ্দিন বাহার, মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো আজিজুর রহমান, শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, মুক্তিযোদ্ধা ড. আনোয়ারা বেগম, দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার রকিবুর রহমান, আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার কিরীটি চাকমা, প্রথম সচিব মো. জাকির হোসেন ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য্য অধ্যাপক ভি এল থারুরকর, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন চন্দ্রিকা বসু মজুমদারসহ অন্য কর্মকর্তারা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আর্কাইভে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের তরফে সে সময়কার স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন ঘটনা, তথ্য ও দলিল সম্বলিত বই এবং তথ্যচিত্রের সিডি তুলে দেওয়া হয়।
পরে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার কথা বলেন। এ জন্য দুই দেশের সরকারকে যেমন কাজ করতে হবে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যারা জানেন তাদেরও বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন বক্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য ভি এল থারুরকর জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে প্রতিনিধি দল সিপাহীজলা জেলার চড়িলাম এলাকায় মুক্তিযুদ্ধকালে সেক্টর কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন চ্যাটার্জির অধীনে থাকা গঙ্গা ও যমুনা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। এসময় তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ৭১’র বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর প্রতিনিধি দল জেলার মেলাঘরে মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এসসিএন/এইচজে