বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে একথা জানিয়েছেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাকাডেমি ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এলাকাগুলোর মানচিত্র সংগ্রহ করছে, যেন সেগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত হয়।
ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সেক্টরে বিভক্ত হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। এই সেক্টরগুলোর মধ্যে অন্যতম চার নম্বর সেক্টর, যা ত্রিপুরার বর্তমান সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত মেলাঘর, সোনামুড়া, চড়িলাম ইত্যাদি জুড়ে ছিল। এই সেক্টরের অধীনে অনেকগুলো ক্যাম্প, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও শরণার্থী শিবির ছিল। এগুলোও গুগল ম্যাপে চিহ্নিত করা হবে।
‘আগামী এক বছরের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও সহজভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্থান ও ঘটনাবলী তুলে ধরা সম্ভব হবে। এতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত হবে। ’
ত্রিপুরায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের চার নম্বর সেক্টরের অন্তর্গত চড়িলাম এলাকার গঙ্গা, যমুনা ক্যাম্পের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিভু রঞ্জন চ্যাটার্জি। তার ছেলে রাজীব চ্যাটার্জি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাকাডেমি ট্রাস্টের এই উদ্যোগের কথা শুনে ট্রাস্টের চেয়ারম্যানসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টের ৩৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায় এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এসসিএন/একে