ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলায় দু’দিনব্যাপী পুতুল নাটক উৎসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
আগরতলায় দু’দিনব্যাপী পুতুল নাটক উৎসব নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের সংগীত নাটক একাডেমির উদ্যোগে আগরতলায় শুরু হলো দুই দিনব্যাপী পুতুল নাটক উৎসব।

শনিবার (২১ অক্টোবর) আগরতলার মুক্তধারা অডিটরিয়ামে শুরু হয়েছে এ উৎসব।

সংগীত নাটক একাডেমির পরিচালক শোভা সাক্সেনা বাংলানিউজকে জানান, পুতুল নাটক মানুষের বিনোদনের মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম।

এক সময় পুতুল নাটকের জনপ্রিয়তা ছিল চরমে। কিন্তু টেলিভিশন, সিনেমা এবং আধুনিক ইন্টারনেটভিত্তিক মনোরঞ্জনের মাধ্যম মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে বহু প্রাচীন এবং একসময়ের সমৃদ্ধ এই পুতুল নাটক। আধুনিক প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এ নাটক অনেকে প্রায় দেখেইনি। সংগীত নাটক একাডেমি এ ধরনের হারিয়ে যেতে বসা প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যমগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নানা কাজ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক ভাষায় পুতুল নাটকের আয়োজন করছেন।

এবছর ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে একাডেমি গান্ধীজীর জীবন ও তার কাজ নিয়ে নতুন নাটক তৈরি করছে।

তিনি আরও জানান, আগরতলায় পুতুল নাটক আয়োজন করার আগে তিনি এ ভেবে চিন্তিত ছিলেন যে, এখানে দর্শক পাওয়া যাবে কিনা? কারণ অন্য সব বিনোদনের কারণে পুতুল নাটক মৃতপ্রায়। তবে এখানে এসে তিনি হতাশ হননি কারণ প্রচুর সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নাটক দেখতে আসছে। পাশাপাশি অন্য মানুষও আছেন নাটক দেখার জন্য।  

দু’দিনব্যাপী এ উৎসবে মোট চারটি নাটক পরিবেশন করা হবে। এরমধ্যে একটি ত্রিপুরা রাজ্যের পুতুল নাটক গোষ্ঠী এবং অপর তিনটি গোষ্ঠী যথাক্রমে ব্যাঙ্গালোর বেনারস এবং লখনউ থেকে এসেছে।

আধুনিক বিনোদনের যুগে কী ধরনের সাড়া পাচ্ছেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পুতুল নাচ কে ঘিরে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি বহু প্রাচীন একটি বিনোদনের মাধ্যম। মূলত প্রাচীনকালে মন্দিরে দেবদেবীর জীবনের কাহিনী পুতুল নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হতো। এ সব বিষয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ তুলনামূলক কম হওয়ায় বর্তমানে তারা সমসাময়িক বিষয়কে ভিত্তি করে পুতুল নাটক লেখা হচ্ছে। যেমন এইচআইভি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, কন্যা সন্তানের যত্ন ও লালন-পালন এবং স্বচ্ছ ভারত, সর্বশেষ সংযোজন করা প্লাস্টিক মুক্ত ভারতের বিষয়ের ওপর লেখা হয়েছে। সমসাময়িক এ বিষয়গুলোকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ দেখা যাচ্ছে।

এ উৎসবে আসা এক ছাত্রী পৃথা দেব বাংলানিউজকে জানান, তিনি পুতুল নাটকের নাম আগেও শুনেছেন। তবে এ প্রথম নিজের চোখে দেখছেন। তার খুব ভালো লেগেছে বিষয়টি।

অপর এক ছাত্র রাজদীপ সরকার জানান, গান্ধীজীর জীবনের অনেক ঘটনা তারা বইতে পড়েছেন। তবে এখানে আসার পর খুব সহজভাবে পুতুলের মাধ্যমে বিষয়টি তাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।