রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আগলতলার নজরুল কলাক্ষেত্রের আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা, চট্টগ্রাম চারুশিল্পী সম্মিলনের সভাপতি আহমেদ নেওয়াজ প্রমুখ।
পঞ্চাশের আনন্দযজ্ঞে এসো মাতি সৃজনের নন্দিত ভুবনে- শীর্ষক এ চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, শিল্পকলার পাশাপাশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি কৌশল, শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়গুলি ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে আরো বেশি করে আদান-প্রদান হলে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, শুধু একা চলা সম্ভব নয়, তেমনি প্রতিবেশীকে ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ভারত চায় বাংলাদেশ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হোক। সেই সঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন ত্রিপুরা শিল্পীরাও আগামী দিনে বাংলাদেশে গিয়ে তাদের শিল্প প্রতিভা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি তিনি নিজে বাংলাদেশ গিয়ে সেদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা বলেন, মানব সভ্যতার সূচনা হয়েছে শিল্পীদের হাত ধরে, এর ঐতিহাসিক প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে মিশর, বেবিলন, সিন্ধু সভ্যতা, মায়া সভ্যতা ইত্যাদির উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, সভ্যতা সম্পর্কে যে জাতি যত বেশি বুঝে তাদের কাছেই শিল্পীদের কদর অনেক বেশি।
বাংলাদেশের জন্মের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের যে অবদান রয়েছে সেকথাও তিনি স্মরণ করতে ভুলেননি। বাংলাদেশের জন্মের পর খানিকটা হলেও ত্রিপুরার অবদানের কথা মানুষের স্মৃতির অতলে তলিয়ে গিয়েছিল। তবে আগরতলাসহ ত্রিপুরা রাজ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে বলেও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন। আগরতলা এবং চট্টগ্রামের চারুকলা কলেজে শিল্পীদের মধ্যে শিল্প সংক্রান্ত বিষয়ে আদান-প্রদান করলে উভয় অংশের শিল্পীরা অনেক লাভবান হবেন বলেও জানান তিনি।
তিন দিনব্যাপী এ চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে উপস্থিত অতিথিরা শিল্পীদের আঁকা ছবি ঘুরে দেখেন। এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মোট ৩২ জন শিল্পীর ৬৯টি ছবি এবং একটি স্কাল্পচার রয়েছে। প্রদর্শনীর প্রথম দিনেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে শিল্পমনস্ক মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর, ২০১৯।
এসসিএন/এসএইচ