বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখনো শরৎকাল শেষ হতে আরও পাঁচদিন বাকি। প্রতিবছর এ সময় থেকেই সকাল-সন্ধ্যায় হিমেল হাওয়া ছড়িয়ে নিজের আগমনী বার্তা দিতে শুরু করে শীতকাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরার আগরতলাসহ আশ-পাশের এলাকাগুলোতে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ঘোরাফেরা করছে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ডিগ্রি থেকে ২৩ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এ সময়েও গরমের হাত থেকে বাঁচতে বৈদ্যুতিক পাখা বা এয়ারকুলার ব্যবহার করতে হচ্ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রার প্রভাবেই ঋতুতে এমন অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে ভুটানি ব্যবসায়ীরা এই গরমেও নিজেদের পণ্য সাজিয়ে দোকান খুলে বসেছেন। ত্রিপুরায় তারা ভুটিয়া নামে পরিচিত। ইতোমধ্যে পুরো শীতকাল থাকার জন্য রাজধানীর শকুন্তলা এলাকায় অস্থায়ী শেড নির্মাণ শুরু করেছেন।
সোনম ভুটিয়া নামে একজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, এবছর শকুন্তলা এলাকায় অস্থায়ী ভুটানি মার্কেটে ১৮টি দোকার দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। ৪০ বছর থেকে পারিবারিকভাবে এই এলাকায় ব্যবসা করে আসছেন তিনি।
সোনম ভুটিয়া আরও জানান, প্রথমদিকে ব্যবসায় তেমন ভালো বেচা হয় না। তবে, শীত জাঁকিয়ে পড়লে বেচাকেনা বাড়ে। গত বছরের মতো এবারও জাঁকিয়ে শীত পড়বে ও ভালো বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তিনি।
চুমলুম আরেক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, এখন হালকা পোশাক আনা এলেও শীত যত পড়বে তত গরম পোশাকের অর্ডার নেওয়া শুরু করবেন তিনি।
সব ধরনের ক্রেতাদের জন্যই শীতবস্ত্র নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। এরইমধ্যে স্বল্পদামে কমবেশি পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে বলেও জানান ওই ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯
এসসিএন/কেএসডি/এএটি