সোমবার (২৮ অক্টোবর) ওই কোম্পানির চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা বাংলানিউজকে একথা জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ি এলাকায় তাদের চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে।
তাদের কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করবে ত্রিপুরা ন্যাচারাল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (টিএনজিসিএল)। ইতোমধ্যে টিএনজিসিএলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের আলোচনা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। এরপর কারখানা গ্যাসের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শুরু হবে।
কয়লার পরিবর্তে সিএনজি ব্যবহার করলে কী কী সুবিধা হবে এবং এতে উৎপাদন খরচ কিছুটা কমবে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ সাহা বলেন, প্রথমে কয়লার পরিবর্তে গ্যাস ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ কম হবে। কারণ কয়লা থেকে যে পরিমাণ ধোঁয়া বের হয়, সে তুলনায় গ্যাস থেকে কোনো ধোঁয়া বহয় না বললেই চলে।
তিনি আরও বলেন, কয়লার তুলনায় গ্যাস ব্যবহারে খরচ কম না হলেও অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। কারণ ত্রিপুরায় কোনো কয়লাখনি নেই, তাই জ্বালানি কয়লার জন্য অন্য রাজ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। কোনো কারণে কয়লা রাজ্যে সময় মতো এসে না পৌঁছালে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকে। এখন আর এ ধরনের সমস্যা হবে না কারণ সিএনজি ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপন্ন হয়।
তবে সিএনজি পাইপ লাইনের মাধ্যমে কারখানাতে সরবরাহ করা হবে নাকি বিশেষ সিলিন্ডারের মাধ্যমে কারখানা টিএনজিসিএল কর্তৃপক্ষ পৌঁছে দেবে এবং সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে নতুন সিলিন্ডার দেবে বলেও জানান তিনি।
ত্রিপুরা রাজ্যের মাটির তলায় বিপুল পরিমাণ সিএনজি পাওয়া যায়। তাই রাজ্যের একাধিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ যানবাহন এমনকি বাড়িতে রান্নার জন্য পাইপলাইনের মাধ্যমে সিএনজি সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এসসিএন/এফএম/এএটি