শনিবার (০২ নভেম্বর) আগরতলা সিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির এটিএম বুথগুলো উদ্বোধন করা হয়।
সিটি সেন্টারে পানির এটিএম বুথে এক রুপির কয়েন ফেলে এক লিটার পানি সংগ্রহের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন লোকসভায় সদস্য প্রতিমা ভৌমিক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা, বিধায়ক ড. দিলীপ দাস, আগরতলা পৌর নিগমের কমিশনার ড. এস কে যাদব, ত্রিপুরা সরকারের নগর উন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব কিরণ গিত্যে।
অনুষ্ঠানে প্রতিমা ভৌমিক বলেন, আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত যে রাস্তা রয়েছে তার সংস্কার কাজ চলছে। এজন্য মোট ৪৪ কোটি রুপি খরচ হবে। বাংলাদেশ থেকে আগত অতিথিরা আর কিছুদিনের মধ্যেই আগরতলা শহরে প্রবেশ করবেন সুবিশাল সুন্দর রাস্তা দিয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আগরতলা শহরবাসী পানিবন্দি হয়ে পড়তেন। এ অবস্থা থেকে শহরবাসীকে স্থায়ী মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্য রাজ্য থেকে যন্ত্রপাতি এবং প্রকৌশলী নিয়ে আসা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন থেকে আবর্জনা মুক্ত করছেন। তাই এ বছর আগরতলা শহরে অনেক এলাকায় বৃষ্টির পানি বেশিক্ষণ জমে থাকেনি।
সিটি সেন্টারের পাশাপাশি জিবি হাসপাতাল, মহারাজগঞ্জ বাজার, মহাকরণ চত্বর, গোর্খা বস্তি এলাকা, টি এম সি হাসপাতাল, ডিম সাগর এলাকা, রাধানগর মোটর স্ট্যান্ড, নাগেরজালা মোটর স্ট্যান্ড, এবং ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স এলাকায় পানির এটিএম বুথ বসানো হয়।
পানির এসব এটিএম বুথ স্থাপনের জন্য মোট খরচ হয়েছে এক কোটি ১১ লাখ ৪০ হাজার রুপি। জীবাণুমুক্ত পানির এ এটিএম বুথগুলোতে এক রুপির কয়েন ফেললে এক লিটার, দুই রুপির কয়েন ফেললে দুই লিটার এবং পাঁচ রুপির কয়েন ফেললে পাঁচ লিটার পানি পাওয়া যাবে।
আগরতলা পৌর নিগমের কমিশনার ড এস কে যাদব জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত এ এটিএম বুথগুলোর কন্ট্রোল ইউনিট আগরতলা পৌর নিগমের অফিসে রাখা হয়েছে। কোন এটিএমে কত লিটার পানি রয়েছে, পানির বিশুদ্ধতা মাপকাঠি এবং অন্য তথ্য একদিকে যেমন এসএমএসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে তেমনই এর কন্ট্রোল কম্পিউটারেও তথ্যগুলি সংরক্ষিত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসসিএন/এবি/এইচএডি/