সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ত্রিপুরার কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রনজিত সিংহ রায়।
আগরতলা (ত্রিপুরা): উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে সিকিম রাজ্যে শতভাগ চাষ হয় অরগ্যানিক পদ্ধতিতে। এখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ত্রিপুরার বর্তমান সরকার অরগ্যানিক পদ্ধতিতে চাষের জন্য কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াচ্ছে। কারণ বিশ্বজুড়ে অরগ্যানিক ফসলের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ত্রিপুরার কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রনজিত সিংহ রায়।
‘বর্তমানে ত্রিপুরায় ৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমি সরকারিভাবে অরগ্যানিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের অনেক বেশি জমিতে অরগ্যানিক পদ্ধতিতে চাষ হয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। সরকার এই জমিগুলোকে অরগ্যানিক হিসেবে বলতে পারছে না কারণ এগুলোর অরগ্যানিক সনদ নেই। খুব দ্রুত রাজ্যের এসব জমিকে অরগ্যানিক হিসেবে পরিচিতি দেওয়ার জন্য সনদ দেওয়া হবে,’ বলেন রনজিত সিংহ রায়।
রাজ্যের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে যে পরিমাণ আনারস উৎপাদিত হচ্ছে তার সম্পূর্ণটাই অরগ্যানিক পদ্ধতিতে হচ্ছে। আনারস চাষের জন্য চাষীরা রাসায়নিক সার তো দূরের কথা জৈব সারও প্রয়োগ করছেন না। কারণ ত্রিপুরা রাজ্যের মাটি আনারস চাষের জন্য এতটাই উপযুক্ত যে সামান্য আগাছা পরিষ্কার করে বাগানকে সুন্দর রাখলেই প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে আনারস উৎপাদিত হয়। এগুলো অত্যন্ত সুস্বাদুও। এছাড়াও ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপাদিত কাঁঠাল, আদা, ভুট্টাসহ জুমে উৎপাদিত সুগন্ধি চাল অরগ্যানিক পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে। ’
‘এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কী কী ফসল অরগ্যানিক পদ্ধতিতে চাষ হয় তা কৃষি দপ্তর পরীক্ষা করে দেখছে। রাজ্যের কোনো জমি পতিত রাখা হবে না। যে জমিতে যে ধরনের ফসল চাষ হয় তা পরীক্ষা করে দেখে সেসব জমিতে সে ধরনের ফসল চাষ করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/