বুধবার (১৩ নভেম্বর) আগরতলার অন্যতম বড় মহারাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নিরঞ্জন সাহা বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে। দামের কারণে ক্রেতারা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পেঁয়াজ কিনছেন।
‘ভারতে মহারাষ্ট্রের নাসিক এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয় বেশি। কিন্তু এবছর নাসিকে পেঁয়াজ চাষ ভালো হয়নি তাই পেঁয়াজের এত দাম। কবে নাগাদ পেঁয়াজের দাম আবার কমবে তা নিশ্চিত নই। ’
আগে কখনো পেঁয়াজের দাম এত বেশি ছিল কিনা জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী বলেন, ২ বছর আগে এক দফায় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ রুপি হয়েছিল। তবে কিছুদিন পর তা কমে যায়। এবছর পেঁয়াজের দাম কমার কোনো লক্ষণই দেখতে পাচ্ছি না।
অপর এক খুচরা ব্যবসায়ী সন্তুন পাল বলেন, আগে দোকানে দৈনিক ১০০ কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতো। এখন ২০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ক্রেতাসহ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে পেঁয়াজ আসছে তার গুণগত মানও তেমন ভালো নয়। এখন এক একটি ১০০ কেজির পেঁয়াজের বস্তায় ৭ থেকে ৮ কেজি খারাপ পেঁয়াজ থাকে। অথচ সব পেঁয়াজ একই দামে কিনতে হচ্ছে।
বাজারে আসা বিজয়া কর্মকার নামের একজন ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ কিনলে অন্য সবজি কেনা হবে না তাই বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ না কিনে বাড়ি ফিরছি।
‘বাড়ি থেকে মোটামুটি বাজার খরচের একটি হিসেব করে আসি। কিন্তু প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে এই হিসেব ঠিক থাকে না। আর পেঁয়াজ কিনতে চলে যায় খরচের বেশিরভাগ রুপি। এরপরও পেঁয়াজ কিনতে হয়। কারণ পেঁয়াজ ছাড়া মানুষের রান্না ঘর অচল’, বলেন কার্তিক দেব।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সংবাদমাধ্যমের কাউকে দেখলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমিয়ে বলেন। অন্য সময় ঠিকই চড়াদাম হাঁকান সাধারণ মানুষদের কাছে।
বাজারে পেঁয়াজের দরদাম নিয়ে কথা বলার সময় এক ক্রেতা বলেন, এখন চোখের পানি আননের লাইগ্য পিয়াজ কাডন লাগে না, দাম হুনলেই চুখে পানি আইয়া পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/