শনিবার (২৩ নভেম্বর) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারত সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের রাজ্য মন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা।
এসময় ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী প্রনজিত সিংহ রায়সহ সরকারের কৃষি দফতর এবং ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ত্রিপুরা শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আয়োজিত এ বৈঠক শেষে পুরুষোত্তম রূপালা বলেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ভারত সরকারের কোনো না কোনো মন্ত্রীকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে আসতে হয় পর্যালোচনা বৈঠকের জন্য। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি আগরতলায় এসেছেন এবং পর্যালোচনা বৈঠকে কৃষি ক্ষেত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের তথ্যাদি জেনেছেন।
তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরা ভারতের একটি ক্ষুদ্র রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও মসলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের জাতীয় ঘরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ উৎপাদিত হচ্ছে। এর জন্য তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষক ও বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ত্রিপুরা রাজ্যের এ সাফল্য অন্য রাজ্যের জন্য উৎসাহ যোগাবে বলেও মত ব্যক্ত করেন তিনি।
পুরুষোত্তম রূপালা বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের ভৌগোলিক গঠনগত কারণে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা তিনি জানতে পেরেছেন। দিল্লি গিয়ে আলোচনা করে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এখন অর্গানিক ফসল চাষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অর্গানিক ফসল চাষের জন্য চাষিদের উৎসাহিত করছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে এমনিতেই রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক অনেক কম ব্যবহার করা হয় কৃষি ক্ষেত্রে। অর্গানিক ফসলের দাম সাধারণ ফসলের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে, তাই সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতকে অর্গানিক চাষে আগ্রহী করার জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/