ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

সিএবি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক, যাবে না ত্রিপুরার অনেক দল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
সিএবি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক, যাবে না ত্রিপুরার অনেক দল

আগরতলা (ত্রিপুরা): সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কী মনোভাব তা জানতে দিল্লিতে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিছুদিন পর ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। এই অধিবেশনে সিএবি পাস করানোর অপেক্ষায় রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। তবে, ইতোমধ্যে এই বিলের বিরোধিতা করে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলছে বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো।

বিশেষ করে এই বিল নিয়ে তীব্র আপত্তি রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে। তাদের মতে, এই বিল পাস হলে উত্তর-পূর্বের জনজাতিগোষ্ঠীগুলোর অস্তিত্বের সংকট প্রকট হবে।

এখনো এই জনজাতিগোষ্ঠীগুলো সংকটের মধ্যে রয়েছে। তাই তাদের ফের যেন সংকটে না ফেলা হয়, এজন্য এই বিলকে আইনে রূপান্তরিত করা উচিত হবে না।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিল্লিতে অমিত শাহর বাসভবনে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বৈঠকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও কংগ্রেস, সিপিআই (এম), আইপিএফটি এবং মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান অমিত শাহ।

এদিকে এই বিলের বিরোধিতা করছে সর্বভারতীয় দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস এবং সিপিআইএম।

জানা যায়, প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন বর্তমানে দিল্লিতে। তিনি বৈঠকে যোগ দিয়ে বিলের বিরোধিতা করবেন।

এর আগে তিনি বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, শুরু থেকেই তিনি এই বিলের বিরোধিতা করে আসছেন।

বৈঠকে আইপিএফটির পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক মেবার কুমার জমাতিয়া। আইপিএফটিও সিএবির বিরোধিতা করবে।

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস জানান, তারা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বৈঠকে যোগ দেওয়ার কোনো মানে হয় না। কারণ সিএবির পরিণতি কী হবে তা আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে।

অপরদিকে সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস জানান, তারাও এ বৈঠকে যোগ দেবেন না। তবে দলের পক্ষ থেকে একটি চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।